দেশে করোনাকালীন সময়েও কোটিপতি বেড়েছে ৭ হাজার ৬১১ জন। ২০১৯ সালে যেখানে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ছিল ৭৯ হাজার ৮৭৭ জন। সেখানে বিদায়ী বছর ২০২০ সালে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৭ হাজার ৪৮৮ জন এমন তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (বিবিএস) তথ্যমতে করোনা মহামারিতে দেশে মানুষের আয় কমেছে ২০ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, গত বছর ১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর বিবিএস ৯৮৯টি পরিবারের ওপর টেলিফোনে ওই জরিপ চালায়। সেই জরিপে দেখা গেছে, করোনার আগে গত মার্চ মাসে প্রতি পরিবারে মাসিক গড় আয় ছিল ১৯ হাজার ৪২৫ টাকা। আগস্ট মাসে তা কমে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪৯২ টাকা।
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) সহযোগিতায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। কিন্তু বড় লোক বা ধনীদের আয় বেড়েছে। ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারী বেড়ে যাওয়া তারই প্রমাণ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দেশের কোটি কোটি লোক নিঃস্ব হয়েছে বলেই করোনার সময়ও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। ব্যাংক থেকে লুট করা একটি শ্রেণি কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। আবার তারাই হয়তো ব্যাংকে টাকা রাখছেন।